অর্গানিক হেয়ার অয়েল দাম

অর্গানিক হেয়ার অয়েল দাম ২০২৪

অর্গানিক হেয়ার অয়েল কি? অর্গানিক হেয়ার অয়েল এমন একটি তেল যা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি হয় এবং এতে কোন রাসায়নিক বা সিন্থেটিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এই তেলগুলি সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ, ফুল, বীজ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান থেকে নিষ্কাশিত হয়। অনেকেই অনেক কারণে অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে অর্গানিক হেয়ার অয়েলের চাহিদা অনেক। আমরা লক্ষ করছি, ফেসবুক লাইভে এসেও অনেক মেয়ে/মহিলা অর্গানিক হেয়ার অয়েল বিক্রি করতেছে যাদের কাস্টমার এবং ফলোয়ার অনেক। অনেক বেশি পরিমাণ তেল বিক্রি হচ্ছে। উপকারিতা আছে কিংবা ফলাফল ভালো পাচ্ছে বলেই মানুষ অর্গানিক হেয়ার অয়েল নিয়মিত কিনতেছে। 
  1. খুশকি নিয়ন্ত্রণ: অর্গানিক তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমাতে এবং খুশকি দূর করতে সহায়ক।
  2. চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক: তেল চুলের শিকড়কে পুষ্টি যোগায়, যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
  3. চুলের শুষ্কতা ও ক্ষতিগ্রস্ততা কমানো: তেল চুলের শুষ্কতা কমাতে এবং ভাঙা চুল মেরামতে সহায়ক।
  4. চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যবহারে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
  5. প্রাকৃতিক সুরক্ষা: রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় এটি চুলের প্রাকৃতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

অর্গানিক হেয়ার অয়েল দাম ২০২৪

অর্গানিক হেয়ার অয়েলের দাম বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন তেলের ধরন, ব্র্যান্ড, পরিমাণ এবং বাজারের অবস্থান। অনলাইনে অর্গানিক হেয়ার অয়েল বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাই স্থানীয় দোকানে বা মার্কেটে এই তেল সহজে নাও পেতে পারেন। অর্গানিক তেল বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি হতে পারে যেমন, নারিকেল, বাদাম, জলপাই ইত্যাদি। তাই উপাদানের উপর নির্ভর করেও দাম কমবেশি হবে।

অর্গানিক হেয়ার অয়েল এর উপকারিতা

অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এগুলি চুল এবং মাথার ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর সমাধান প্রদান করে। অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহার করে। অনেকে আবার নিজের ইচ্ছেতেই বিভিন্ন কারনে অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহার করে। নিচে কিছু প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হল। নিম্নে উল্লেখিত যেকোন একটি কারণে অথবা একাধিক কারণে আপনি অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন।

খুশকি নিয়ন্ত্রণ:

    • অর্গানিক তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে আনে, যা খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
    • উদাহরণস্বরূপ, টি ট্রি অয়েল এর অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টি রয়েছে যা খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে।

চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা:

    • তেল চুলের শিকড়ে পুষ্টি সরবরাহ করে, যা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
    • ক্যাস্টর অয়েল বিশেষ করে চুলের বৃদ্ধির জন্য কার্যকর।

চুলের শুষ্কতা ও ক্ষতিগ্রস্ততা কমানো:

    • নারিকেল তেল এবং আরগান তেল চুলের শুষ্কতা কমিয়ে চুল মসৃণ ও কোমল করে তোলে।
    • এই তেলগুলো চুলের ভঙ্গুরতা কমাতে সাহায্য করে।

চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি:

    • অর্গানিক তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও ঝলক এনে দেয়।
    • বাদাম তেল চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিক সুরক্ষা:

    • রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় অর্গানিক তেল চুলের প্রাকৃতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
    • এতে চুলে কোন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ হয় না।

চুলের পুষ্টি সরবরাহ:

    • অর্গানিক তেলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা চুলের জন্য উপকারী।
    • অলিভ অয়েল ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

চুলের গঠন ও টেক্সচার উন্নতি:

    • নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গঠন ও টেক্সচার উন্নত হয়।
    • জোজোবা তেল চুলের গঠন ভালো করতে সাহায্য করে।

অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহার করার সময় নিয়মিত ম্যাসাজ করা এবং তেল ব্যবহারের পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা উচিত। এতে করে তেলের পুষ্টিগুলো চুলের গোড়ায় ভালোভাবে পৌঁছাতে পারবে এবং সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যাবে।

অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা থাকলে চুলের সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে অর্গানিক হেয়ার অয়েল ব্যবহারের নিয়ম ও ধাপগুলো তুলে ধরা হলো:

তেল নির্বাচন:

আপনার চুলের ধরন এবং চুলের সমস্যার উপর নির্ভর করে উপযুক্ত অর্গানিক তেল নির্বাচন করুন। উদাহরণস্বরূপ, চুল পড়ার সমস্যা থাকলে ক্যাস্টর অয়েল, খুশকির জন্য টি ট্রি অয়েল বা শুষ্ক চুলের জন্য নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।

তেল গরম করা:

তেল ব্যবহারের আগে এটি হালকা গরম করে নিন। হালকা গরম তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে প্রবেশ করে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। তেল গরম করার জন্য একটি বাটিতে তেল নিয়ে সেটি গরম পানিতে রেখে গরম করতে পারেন। সরাসরি আগুনে গরম করবেন না।

তেল ম্যাসাজ:

মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ায় তেল ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। আঙ্গুলের ডগা দিয়ে আলতোভাবে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ম্যাসাজ করতে করতে তেল পুরো মাথার ত্বক এবং চুলে ছড়িয়ে দিন।

তেল লাগানোর সময়:

তেল লাগানোর পর ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিন যাতে তেল চুলে ভালোভাবে শোষিত হয়। আরো ভালো ফলাফলের জন্য তেল সারা রাত রাখতে পারেন।

চুল ধোয়া: তেল লাগানোর পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সঠিকভাবে ধুতে না পারলে চুল তেলতেলে থেকে যেতে পারে। মাইল্ড বা অর্গানিক শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ২-৩ বার শ্যাম্পু করতে হতে পারে।

নিয়মিত ব্যবহার:

চুলের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সপ্তাহে ১-২ বার তেল ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গঠন, স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য বজায় থাকবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top